মডেলঃ স্যামসাং গ্যালাক্সি এ থার্টি এস (A30s)

মূল্যঃ

পাকিস্তানে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ থার্টি এস ( A30s) এর মূল্য ৩৬,৯৯৯ পাকিস্তানি  রুপি, বাংলাদেশে ২১,৯৯৯ টাকা ও ভারতে ১৪,০৯৯ ভারতীয় রুপি।

রং ও প্রকারভেদঃ

তিনটি রঙের বৈচিত্র্যময় স্যামসাং গ্যালাক্সি এ থার্টি এস (A30স) বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো যথাক্রমে প্রিজম ক্রাশ ব্ল্যাক, প্রিজম ক্রাশ ভায়োলেট ও প্রিজম ক্রাশ হোয়াইট। প্রিজম ক্রাশ ব্ল্যাক রং এর সেটটি বেশ আকর্ষণীয় ও যে কোন বয়সের ব্যবহারকারির নিকট পছন্দনীয়। বাকি দুই প্রকারের সেট গুলোও সকল বয়সী বিশেষত তরুণ প্রজন্মের নিকট আকর্ষণীয়।

ডিজাইনঃ

স্যামসাং গ্যালাক্সি এ থার্টি এস (A30স) অন্যান্য সচরাচর স্মার্টফোনের মতই বড় তবে তুলনামূলকভাবে হাল্কা। ৬.৫” আকৃতির ডিসপ্লে বিশিষ্ট সেটটির ওজন ১৬৬ গ্ৰাম এবং আকার ১৫৮.৫ × ৭৪.৭ × ৭.৮ মি.মি., যা অনুরুপ ডিসপ্লে বিশিষ্ট সেট এর জন্য আদর্শ।

ডিসপ্লেঃ

স্যামসাং গ্যালাক্সি এ থার্টি এস (A30s) এর ডিসপ্লে রেজূ্লেশন পরিসংখ্যান ২৬৮ পিপিআই (প্পী) মাত্রায় ৭২০×১৫৬০ পিক্সেল, গ্যালাক্সি এ থার্টি (A30) তে যা ৪০৩ পিপিআই (PPI) মাত্রায় ১০৮০×২৩৪০ পিক্সেল। তবে উভয়ের ডিসপ্লে সাইজ সমান। সেটটিতে অতিরিক্ত কোন সংযোজন নেই।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এ থার্টি এস (A30s) এর ব্যাটারি গ্যালাক্সি এ থার্টি (A30)’র মতো A 3,04,000 mAh ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও CPU মডেল Octa-center Exynos 7904 যাতে রয়েছে Mali-G71 গ্ৰাফিক প্রসেসিং ইউনিট। স্যামসাং গ্যালাক্সি এ থার্টি এস (A30s) এর গঠনশৈলি বেশ মজবুত, টেকসই এবং এর অবকাঠামো, ডিসপ্লে অথবা কি বোর্ড প্যানেলে কোন ধরণের ত্রুটি নেই। এর দুটি হার্ডওয়ার বাটন রয়েছে যেগুলো মূল অবকাঠামোর সাথে দৃঢ়ভাবে আটকানো রয়েছে। গ্যালাক্সি এ থার্টি এস (A30s) সেটটিতে কোন warning LED  নেই, তবে এর USB Type-C Port  পুরনো USB 2.0 Norm এর মাধ্যমে কাজ করে।

ক্যামেরাঃ

গ্যালাক্সি এ থার্টি এস (A30s) এর ২৫ MP back camera, f/1.7 main camera, একটি ৮ MP ক্ষমতার f/2.2 gap ultrawide লেন্স এবং একটি অতিরিক্ত ৫ MP f/2.2 depth sensor রয়েছে (গ্যালাক্সি A30 তে এটি অনুপস্থিত)। ফ্রন্ট ক্যামেরাটি ১৬ MP (f/2.0 gap) ক্ষমতা সম্পন্ন।

হার্ডওয়ারঃ

গ্যালাক্সি এ থার্টি এস (A30s) Octa-center Exynos 7904 প্রসেসর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত (২ × ১.৮ GHz  ও ৬ × ১.৬ GHz)। এর RAM ৪ গিগাবাইট (GB) ও internal storage ৬৪ গিগাবাইট (GB) ক্ষমতা সম্পন্ন। গ্যালাক্সি A30sসেটটি ৪০০০ mAh ক্ষমতার নির্দিষ্ট ব্যাটারির মাধ্যমে এন্ড্রয়েড ৯ Pie কর্তৃক পরিচালিত। এর ব্যাটারি দ্রুত চার্জ হতে সক্ষম। সিঙ্গেল (ন্যানো সিম) অথবা ডুয়েল সিম (ন্যানো সিম, ডুয়েল – stand-by) এ এটি পাওয়া যায়।

 

সফটওয়্যারঃ

গ্যালাক্সি A30s এর চালক ইঞ্জিন একটি One UI 1.5 যা এন্ড্রয়েড ৯ Pie ইন্টার্নাল ভার্শন সমৃদ্ধ। One UI 1.5 Stock Android এর মতোই কাজ করে, তবে একাধিক customizations সুবিধা সম্বলিত। One UI এবং গুগল এর মাধ্যমে downloaded অ্যান্ড্রয়েড version  এর মূল পার্থক্য হল প্রাইমারি সেটিং মেনু। অবশ্য স্বল্প সময়ে এটি আয়ত্ত করা যায়। গ্যালাক্সি A30s তে Galaxy Store ব্যতীত কয়েকটি বাইরের অ্যাপ্লিকেশনসও ফ্রী ইনস্টলড করা আছে।

কয়েকটি প্রতিপক্ষ কোম্পানিঃ

কয়েকটি মডেল/কোম্পানির ফিচার মোটামুটি গ্যালাক্সি A30s এর মতই। Oppo F15 এর User Interface (UI) মডেল ColorOS 6.1, তাই এর ফিচার ব্যাপক। যেমন অ্যাপ ড্রয়ার, স্মার্ট জেস্চাস’ এবং ইমপ্রুভড স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট।

Vivo S1, System On Chip (SoC) সমৃদ্ধ একটি হালকা ফোন সেট, যা Adreno 610 Graphic Processing Unit ব্যবহার করে। এটি অনেকটাই      গ্যালাক্সি A30s এর মত।

উপসংহারঃ

গ্যালাক্সি A30s ব্যাপক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্পিডি প্রসেসর ব্যবহার করে থাকে (অ্যাডভান্সড Octa-Core)। এটির পেছনের প্যানেল এতই চমৎকার যে প্রকৃত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা মডেল টি কে পছন্দ করবে। এতে ডুয়েল সিম ও মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করা যায়। এর টাচস্ক্রিন অত্যন্ত আকর্ষনীয় ও মজবুত। এর চমৎকার Amoled ডিসপ্লে ব্যবস্থাটি সুবিধাজনক কৌণিক পর্যবেক্ষণের জন্য অনুকূল। দৈনন্দিন সাধারণ ব্যবহারের জন্য এটি বেশ উপযোগী। এর মনমুগ্ধকর ডিজাইন, আকর্ষণীয় ডিসপ্লে ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক উপকরণ সমৃদ্ধ ত্রয়ী ক্যামেরা সন্নিবেশিত ও সহজলভ্যতার কারণে নির্ধারিত বাজার মূল্য যৌক্তিক বলে প্রতীয়মান হয়।